লাখ লাখ লোকের মহাসমাবেশ এবং কঠিন বাস্তবতা...............
লিখেছেন লিখেছেন মিষ্টার আলিফ ২৪ মার্চ, ২০১৩, ০৯:৫০:৪৪ সকাল
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বিতর্কিত মামুষ মওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসুদ । তিনি কখনো ইসলামের খাদেক আবার কখনো ইসলাম বিদ্বেষি ব্লগারদে সহযোগী। তিনি আবার মহাসামাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন এমন দিনে যখন সারা বাংলাদেশের মহান রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুল রহমানের ইন্তিকালে মূহ্যমান গোটাজাতি শোকে কাতর। এবং সর্বস্তরে শোকের মাতন চলছে। এছাড়া যখন তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক চলছে ।যাক,মহাসমাবেশের ঘোষণাই সার। বাস্তব অবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এক কোটি টাকার বাজেটে গুটিকয়েক মানুষের ‘মহাসমাবেশ’ হয়ে গেল রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে। এই সমাবেশকে ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছিল ব্যাপক প্রস্তুতি। তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয়। ছিল বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার বিরামহীন তৎপরতা। সংবাদ মাধ্যমের সরব উপস্থিতি। আশপাশের এলাকাজুড়ে লাগানো হয় ১০০ মাইক। দক্ষিণে টিকাটুলি মোড়, উত্তরে আরামবাগ আল হেলাল মোড়, পশ্চিমে দৈনিক বাংলার মোড়, পূর্বে কমলাপুর বাজার রোড পর্যন্ত তৈরি করা হয় নিরাপত্তা বলয়। তুলে দেয়া হয় ফুটপাথের সব দোকানপাট। বন্ধ করে দেয়া হয় সব ধরনের যান চলাচল। নিরাপত্তার জন্য বসানো হয় আর্চওয়ে। শাপলা চত্বরের মোড়ে তৈরি করা সুসজ্জিত মঞ্চ। পিচঢালা পথে বিছানো হয় কার্পেট। প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে চলে প্রচার প্রচারণা। ঘোষণা দেয়া হয় লাখ লাখ লোকের মহাসমাবেশ করার। সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলার কথা ছিল সমাবেশ। কিন্তু শুরু হয়েছে তিনটায়। বেলা তিনটারর দিকে পুলিশ পাহারায় একটি সাদা মাইক্রোবাসে চড়ে সমাবেশস্থলে যান মহাসমাবেশের মহান সফল উদ্যোক্তা মওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। ২০০৫ সালের ১৭ই আগস্ট জেএমবি’র সিরিজ বোমা হামলার আসামী হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তিনি দেশের বৃহত্তম ঈদের জামাত শোলাকিয়ার ইমাম। তখন মঞ্চ এবং এর আশপাশ মিলে আড়াই শ’ থেকে তিন শ’ লোকের সমাগম। ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কিছু কর্মী মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন। তবু শেষ পর্যন্ত পাচঁশতের কোটা অতিক্রম করেনি এমন অনুমান প্রত্যক্ষদর্শীদের। তবে সচেতন মহল মরন করেন- গুটিকয়েক লোকের জন্য এভাবে রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র অচল করে রাখার কোন মানে হয় না। বেলা তিনটার দিকে মহাসমাবেশ লেখা ব্যানারের ওপর কালো কাপড়ে লেখা দোয়া মাহফিলের ব্যানার লাগানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু আকার ছোট হওয়ায় ওই ব্যানার মঞ্চের সামনে ঝুলিয়ে দেয়া হয়। সমাবেশের উপস্থিতি দেখে হতাশ হন উদ্যোক্তাদের অনেকেই শুধু হতাশই নন যথারীতি বেআক্কেল বনে গেছেন।। তারা এখন লাজলজ্জা পেলে মুখ মুখেছেন, বিরোধী আলেমদের প্ররোচনায় অনেকেই আসেননি। তারপরও মাওলানা মাসউদ তার বক্তৃতায় লাখ লাখ লোকের উপস্থিতির দাবি করেন। এ সময় উপস্থিত লোকজন এবং মিডিয়া কর্মীরা হাসাহাসি করেন অনেকটা প্রকাশ্যেই। সমাবেশে মিডিয়া কর্মীদের মাঝে বিলি করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বেশ ক’জন খ্যাতনামা আলেমের নাম যোগ করা হয় বক্তার তালিকায়। অথচ তারা সমাবেশে উপস্থিতই ছিলেন না। বাস্তব পক্ষে এটা কিসের আলামত ? একজন মহান আলেম দাবিদার প্রকাশ্যে মহা মিথ্যার ফুলজুরি ফুটিয়েছেন। আমরা আশা করবো এর পর থেকে তিনি তার ভুল বুজতে পারবেন। তাহলে তার জন্য কিংবা মুসলিম জাতির জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে নচেৎ তারা সময়ের ব্যবধানে আস্তাকুলে নিক্ষিত হবে। আল্লাহ আমাদের সকলকে ক্ষমা করুন।
বিষয়: বিবিধ
৯৩৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন